বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন

নোটিশ :
সাদেকপুর ইউনিয়ন হাই স্কুল এন্ড কলেজের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

গ্রাম পরিচিতি ও গোড়ার কথা ঃ সাদেকপুর একটি সুপ্রাচীন জনপদ। কথিত আছে একজন সাধক পুরুষ প্রথমে এখানে বসতি স্থাপন করেন। সাধকের আস্থানা বিধায় গ্রামের নাম হয় “সাধকপুর”। পরবর্তীতে বানান বিভ্রাটের দরুন “সাধক” হয়ে যায় ‘‘সাদক” যা তেমন অর্থ বহন করেনা। জনশ্রুতি ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে সাধক ব্যক্তির নাম ছিল আগা সাদেক। তার পূণ্য স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আশির দশকে গ্রামের নাম পরিচিতি লাভ করে “সাদেকপুর” হিসেবে। সাদেকপুর একটি ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ গ্রাম। চৌদ্দটি ছোট-বড় গ্রাম নিয়ে এই গ্রামের নামে ছিল “সাদেকপুর ইউনিয়ন বোর্ড”। ষাটের দশকে ছয়টি বৃহৎ গ্রাম নিয়ে “সাদেকপুর পশ্চিম” এবং সাদেকপুর সহ বাদ বাকী ৮টি গ্রাম নিয়ে “সাদেকপুর পূর্ব” নামে ২টি ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সাদেকপুর পূর্ব ইউনিয়ন ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এখানে অবস্থান করে বহু সফল অপারেশন পরিচালিত হয়। আশির দশকে সাদেকপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নাম পরিবর্তন করে “বড়াইল ইউনিয়ন” করা হয় এবং সাদেকপুর পূর্ব ইউনিয়নের নাম সাদেকপুর ইউনিয়ন বহাল থাকে। ইউনিয়নদ্বয় পূর্ব থেকে নবীনগর উপজেলাধীন ছিল। নব্বই এর দশকে নৈকট্য, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনদাবীর প্রেক্ষিতে “সাদেকপুর ইউনিয়ন” কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ ভূঁঞার প্রস্তাবনা ও পত্র পত্রিকায় লেখালেখিতে যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
পূর্বে গ্রামের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ছিল হিন্দু। সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানরা ছিল মূলত অশিক্ষিত ও কৃষিজীবী। অন্যদিকে হিন্দুরা ছিল তুলনামূলক ভাবে বেশি শিক্ষিত, ব্যবসায়ী ও বুদ্ধিমান। মহাজনী ব্যবসায় বৃটিশ আমলে তারা ফুলে ফেপে উঠে। ফলতঃ গ্রাম ও তৎকালীন ইউনিয়ন বোর্ডের নেতৃত্বও তাদের হাতেই ছিল। ১৯৪৭ এর দেশ ভাগের সময় হিন্দুরা এদেশ ত্যাগ করায় মুসলমানদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে এবং বড়াইলের মরহুম মলাই মিঞা সরকার অবিভক্ত সাদেকপুর ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। দায়িত্ব গ্রহণ করেই তিনি নিজ বাড়িতে অস্থায়ী ইউনিয়ন বোর্ড অফিস স্থাপন করেন এবং সাদেকপুর গ্রামের ডাকঘরটি তার বাড়িতে স্থানান্তর করেন। নেতৃত্বের অভাবে এ ব্যাপারে সাদেকপুর গ্রামবাসী কিছুই করতে পারেন নাই, শুধু মর্মে মর্মে জ্বলতে থাকেন।
ষাটের দশকে ইউনিয়ন ভাগের পর দেশ ত্যাগকারী হিন্দুদের একমাত্র ব্যক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অবস্থানকারী মোক্তার বাবু সতেন্দ্র চন্দ্র রক্ষিত কেহ কিছু বুঝে উঠার আগে বেসিক ডেমোক্রেসির আওতায় মেম্বারীর মনোনয়ন সংগ্রহ করে সাদেকপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে যান। গ্রামের লোকজন ইহাকে মন্দের ভাল হিসেবে মেনে নেন। তিনিও ঘোষনা দেন তিনি কোন দিনই গ্রাম বা এ দেশ ত্যাগ করবেন না। তিনি তার জন্মস্থানেই মরতে চান। কাজ কর্মেও তিনি সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষন না করে আপামর জনগনের স্বার্থে কাজ করে গেছেন। তার আমলে গ্রামে বীজাগার ও ইউনিয়ন পরিষদ অফিস স্থাপিত হলে জনগণ আশার আলো দেখেন। স্বাধীনতার পর তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে ও তিনি কাজ কর্মে অক্ষম হয়ে পড়েন এবং ইহলোক ত্যাগ করেন। চেয়ারম্যানশীপ চলে যায় অন্য গ্রামে। সাদেকপুর গ্রামে পুনরায় নেমে আসে নেতৃত্ব শূণ্যতা ও হতাশা।
এ পর্যায়ে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে মুসলমানদের মধ্যে এ গ্রামের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ ভূঁঞা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এ পাস করে কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। ছাত্র জীবন থেকেই গ্রাম উন্নয়ন কর্মকান্ডে তার আগ্রহ ও কর্মদক্ষতা দেখে গ্রামের মুরব্বীগণ এক বাক্যে তার উপর নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। গ্রামবাসীর আর্শিবাদ নিয়ে তিনি প্রথমেই গ্রামে পুনরায় একটি ডাকঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেন এবং সফল হন। তার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ১৯৭৮ ইং সনে গ্রামে পুনরায় একটি নতুন ডাকঘর স্থাপিত হয়। এরই মধ্যে তিনি কলেজেন অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে কর্মকর্তা (ম্যানেজার) হিসেবে জনতা ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ক্রমান্বয়ে পদোন্নতিসহ সুনাম ও সফলতার সাথে ডি.জি.এম হিসেবে কর্মজীবন শেষে পেনশন গ্রহন করেন। ব্যাংকের ব্যস্ত চাকরি সত্বেও গ্রাম উন্নয়নের নেতৃত্ব তার হাতেই থেকে যায়। এ পর্যায়ে সাদেকপুর ও চিলোকূটের মেম্বারগনকে নিয়ে তৎকালীন চেয়ারম্যানকে ডিঙ্গিয়ে সাদেকপুর গ্রামে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইউনিয়ন পরিবার কল্যান কেন্দ্র (হাসপাতাল) (১৯৮৪-৮৮ ইং), সমাজ কল্যান কেন্দ্র (১৯৮৫-৮৬ ইং সন), ইউনিয়ন ভূমি অফিস (তহশিল অফিস) (১৯৮৭-৯৩ ইং), ইরি স্কীম ও গ্রামে বিদ্যুৎ আনেন এবং “চক বাজার জামে মসজিদ” (১৯৮৫-৯৫ ইং) নির্মাণসহ কয়েকটি ব্রিজ কালভার্ট ও সংযোগ সড়ক ইত্যাদি নির্মাণ করেন। গ্রামের লোকজন তার উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভীষণ সন্তুষ্ট হন এবং তার আহবানে অকাতরে সাহায্য সহযোগীতা করতে থাকেন।

হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপটঃ- সমাজ কর্মী জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ ভূঁঞা লক্ষ্য করেন যে, আশে পাশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চ শিক্ষা লাভের এক/একাধিক হাই স্কুল/দাখিল মাদ্রাসা থাকলেও সাদেকপুর ইউনিয়নে কোনো হাই স্কুল/দাখিল মাদ্রাসা নেই। ফলতঃ এলাকাটি লেখাপড়ায় (বিশেষ করে মেয়েরা) ভীষন পিছিয়ে পড়ে। হাই স্কুল/দাখিল মাদ্রাসা স্থাপনের মত আগ্রহী একক কোন দানশীল ব্যক্তি না পাওয়ার দরুন জনগনের স্বতঃস্ফুর্ত সাহায্য সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে তিনি একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার মনস্থির করেন। এ লক্ষ্যে ১৯৯২ ইং সনের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে তিনি ইউনিয়নের আপামর জনসাধারনের এক সভা আহবান করেন। সভায় প্রচুর লোক সমাগম হয়। সভায় তিনি সবিস্তারে ইউনিয়নে উচ্চ শিক্ষা লাভের প্রতিষ্ঠান হাই স্কুল না থাকার কুফল, হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাব্যতা তুলে ধরেন। তার বক্তব্যের সমর্থনে এডভোকেট একেএম আব্দুল হাই ও এডভোকেট হাবিবুর রহমান, মরহুম এয়াকুব আলী খানসহ অনেকেই জোরালো বক্তব্য রাখেন এবং পরবর্তী সভায় এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান রাখেন। তদপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সপ্তাহে পুনরায় আহুত সভায় বিষয়টি আরো বিস্তারিত ভাবে আলোচনার পর সমগ্র ইউনিয়ন বাসীকে সম্পৃক্ত করে “সাদেকপুর ইউনিয়ন হাই স্কুল” নামে একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে উন্নত যোগাযোগ সমৃদ্ধ এবং ইউনিয়নের কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত বিধায় সাদেকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে প্রস্তাবিত হাই স্কুলটি স্থাপিত হবে। একই সভাই জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ ভূঁঞাকে আহবায়ক এবং এডভোকেট একেএম আব্দুল হাই ও এডভোকেট হাবিবুর রহমানকে যুগ্ম আহবায়ক করে ইউনিয়নের সকল মুরব্বি ও বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গকে নিয়ে একটি “হাই স্কুল বাস্তবায়ন কমিটি” গঠিত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে চিলোকুট গ্রামের লোকজন তাদের গ্রামে আলাদা হাই স্কুল প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী হন। ইউনিয়নের এক পার্শে এবং বড়াইলে বিদ্যমান স্কুল দ্বয়ের অতি সন্নিকটে অবস্থিত হবার দরুন তাদের প্রস্তাবিত স্থান থেকে কিছুটা সরে এসে সাদেকপুর চিলোকুট দুই গ্রামের যৌথ নামে দুই গ্রামের সুবিধাজনক স্থানে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করার কিংবা বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে দুই গ্রাম তথা সমগ্র ইউনিয়ন বাসীর সহযোগীতা ও সম্পৃক্ততায় যুগপদ ভাবে সাদেকপুরে – হাই স্কুল এবং চিলোকূটে – একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু চিলোকুট বাসী কোন প্রস্তাবেই সম্মত না হয়ে তাদের প্রস্তাবিত স্থানেই হাই স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ জোরদার করতে থাকেন। ফলতঃ একই সময়ে দুই গ্রামে দুইটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চালু হয়। নিজেদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকায় এবং সরকারী নীতির উদারতায় কালক্রমে ২টি হাই স্কুলই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত, এমপিওভুক্ত ও উন্নয়ন স্ক্রীমের অন্তভুক্ত হয়, যা ইউনিয়ন বাসির জন্য শাপে বর হয়।
এদিকে ইউনিয়ন হাই স্কুল বাস্তবায়ন কমিটি পর্যায়ক্রমে মিটিং সমাবেশ জনসংযোগ করে টাকা-পয়সা, ধান-চাউল, বাশঁ-কাঠ, জমি ইত্যাদি উঠাইতে থাকেন। দুই গ্রামের রশি টানাটানিতে সরকারী চাকুরে কমিটির আহবায়ক থাকলে তার বা স্কুলের ক্ষতির আশঙ্খায় যুগ্ন আহবায়ক এডভোকেট একেএম আব্দুল হাই কে কার্যকরী আহবায়ক করে কাজ চলতে থাকে। মোঃ আব্দুর রশীদ ভূঁঞা তার বন্ধু-বান্ধব শুভাকাঙ্খী গ্রাহকদের সহযোগীতা নিতে থাকেন। এভাবে কিছু দিনের মধ্যে স্থানীয় ও অস্থানীয় সূত্র থেকে মোটামোটি একটা ভাল তহবিল/জমি সংগৃহীত হয় (বিস্তারিতের জন্য দাতা বোর্ড দ্রষ্টব্য)। ০১/০১/১৯৯৩ ইং তারিখে স্কুলের যাত্রা শুরু করার জন্য একটি লম্বা ঘর উঠানো হয়, আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করা হয়, শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা শুরু হয়।
শুভ সূচনা ঃ অবশেষে ০১/০১/১৯৯৩ ইং তারিখে মিলাদ ও এক অনাড়াম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পাঠ দান শুরু হয়। পর্যায় ক্রমে ০১/০১/১৯৯৪ ইং তারিখে বিদ্যালয়টিতে সপ্তম শ্রেণী, ০১/০১/১৯৯৫ ইং তারিখে অষ্টম শ্রেণী, ০১/০১/১৯৯৬ ইং তারিখে ৯ম শ্রেণীতে পাঠদান শুরু হয়। ১৯৯৮ ইং সনে বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচ এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ১৯৯৫ ইং সনের জুন মাসে স্কুলটি ০৮/০৬/১৯৯৫ ইং তারিখে ইস্যুকৃত পত্রমূলে ০১/০১/১৯৯৫ ইং তারিখ হতে কার্যকর একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। এ খবরে ইউনিয়নবাসী দারুন আন্দোলিত ও আনন্দিত হন এবং ঘটাকরে উৎসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিষয়টি উদযাপন করেন। উৎসব কালে ঘটনার মধ্যমনি ‘জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ ভূঁঞাকে’ – যার পরিকল্পনা, আন্তরিক – ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রম, বলিষ্ঠ ও গঠনমূলক নেতৃত্ব এবং বাস্তবধর্মী কর্ম তৎপরতায় গ্রাম তথা ইউনিয়নে হাই স্কুলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান/প্রকল্প নির্মাণ/ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে এর যথাযথ মূল্যায়ন স্বরুপ স্কুলটির ‘‘প্রতিষ্ঠাতা’’ ঘোষনা করা হয়। পাশাপাশি স্কুলটি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য সহযোগিতা ও অসামান্য অবদান রাখার জন্য যুগ্ন আহবায়কদ্বয় এডভোকেট একেএম আব্দুল হাই, এডভোকেট হাবিবুর রহমান, সর্ব জনাব/সর্দার আব্দুল আজিজ, (আবন আলী সর্দার), হাজী মহেব উল্লাহ, আব্দুল অহিদ, আব্দুল গনি, হাজী মোঃ ইদ্রিস মিয়া, ডাক্তার হাবিবুর রহমান, বুধাই মোল্লা, আব্দুল জলিল মুন্সি, আব্দুল কাদির (চেয়ারম্যান), ইয়াকুব আলী খান, হাজী আব্দুল জব্বার, (রাজা খাঁ), হাজী তারা মিয়া, ফিরোজ মিয়া মেম্বারসহ ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। স্কুল টি ০১/০৪/১৯৯৯ ইং তারিখ হতে জুনিয়র স্কুল হিসেবে এমপিও ভূক্ত ও ০১/০৪/২০০১ ইং তারিখ হতে পূণাঙ্গ হাই স্কুল হিসেবে এমপিও ভূক্ত হয়।
বর্তমান হালচাল ঃ এরই মধ্যে ইহা উন্নয়ন স্ক্রীমের অন্তভূক্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ৩ (তিন) তলা দালান আছে। আরও একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও কম্পিউটার ল্যাব চালু করণ প্রক্রিয়াধিন আছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় পাঁচশত । শিক্ষক/কর্মচারী ১৬জন। জে.এস.সি/এস.এস.সিতে বিদ্যালয়ের ফলাফল খুবই ভালো। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে কম্পিউটার বিভাগসহ মাল্টি মিডিয়া ক্লাশ চালু আছে। স্কুল ক্যাম্পাসে হাই স্কুলের ৭৫.১২ শতক এবং প্রাইমারী স্কুলের ৩১ শতক অর্থাৎ একই কম্পাউন্ডে (মাঠে) ১০৬.১২ শতক জমি আছে – যেখানে উভয় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা করতে পারে। তাছাড়া তিতাস নদীর তীরে বিদ্যালয়ের আরও ৩২ শতকের মত জমি আছে। পাচঁ বছর মেয়াদি সর্বশেষ স্বীকৃতির মেয়াদ ৩১/১২/২০১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত বলবৎ আছে।

প্রতিষ্ঠাকাল থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন জনাব মোঃ শওকত আলী। স্কুলের স্বীকৃতি, এমপিওভূক্তি, ও স্কুলটিকে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতা ভূক্তির ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা দৌড় ঝাপ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০০৭ ইং সনে তিনি অন্যত্র চলে যান এবং ২০১৫ ইং সনের শেষ দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না……..রাজিউন)। মোঃ শওকত আলী চলে যাওয়ার পর সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব মোস্তাফা মাহমুদ হায়দার কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ০১/১০/২০০৯ ইং তারিখ হতে বর্তমান প্রধান শিক্ষক জনাব এ.বি.এম সফিকুর রহমান দায়িত্ব পালন করছেন। তার আমলে স্কুলের উন্নয়ন, পাঠদান/গ্রহণে দারুন গতিময়তা এসেছে, যা অব্যাহত/আরও বৃদ্ধি পাক- এই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট সকলের।
পরিচালনা ও ভব্যিষৎ প্রত্যাশাঃ সূচনা থেকেই স্কুলটি নিয়মিত পরিচালনা কমিটি দ্বারা পরিচালিত। বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠাতা জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ ভূঁঞা, এডভোকেট একেএম আব্দুল হাই ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। স্কুলের আরও উন্নয়ন, মাঠ সম্প্রসারন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ সর্বোপরি স্বল্পতম সময়ে এতে একাদশ শ্রেণী খুলে স্কুলটিকে “স্কুল এন্ড কলেজ” উন্নীত করার মহান ব্রত নিয়ে ইউনিয়ন তথা এলাকাবাসীর ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিম্ন লিখিত ব্যক্তিবর্গ সমন্বয়ে সম্প্রতি পরিচালনা কমিটি পুর্নগঠন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে বিধিমোতাবেক সাদেকপুর ইউনিয়ন হাই স্কুলটিকে সাদেকপুর ইউনিয়ন হাই স্কুল এন্ড কলেজ এ উন্নিত করা হয়।
গভর্নিং বডির পদবিন্যাস নিম্নরূপ:-
ক্রমিক নাম পদবী
০১ জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ ভূঁঞা সভাপতি
০২ জনাব মোঃ আব্দুর রশীদ ভূঁঞা প্রতিষ্ঠাতা
০৩ জনাব মোঃ ফরিদ মিয়া দাতা
০৪ জনাব এ.এস.এম মাহবুবুল আলম কো-অপ্ট সদস্য
০৫ জনাব হযরত আলী অভিভাবক সদস্য
০৬ জনাব মোঃ রবিউল্লাহ অভিভাবক সদস্য
০৭ জনাব মোঃ সাহবাছ মিয়া অভিভাবক সদস্য
০৮ জনাব মোঃ আব্দুল আওয়াল অভিভাবক সদস্য
০৯ জনাব পারুল বেগম মহিলা অভিভাবক সদস্য
১০ জনাব মোঃ মিজানুর রহমান শিক্ষক প্রতিনিধি
১১ জনাব মোঃ মনির হোসেন শিক্ষক প্রতিনিধি
১২ জনাব দেলোয়ারা বেগম মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি
১৩ জনাব এবিএম সফিকুর রহমান সদস্য সচিব
ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা পূরণ তথা স্কুলের সর্বাঙ্গিন উন্নতির লক্ষে ইউনিয়ন/এলাকাবাসী, স্থানীয়/অস্থানীয়/ প্রবাসী ব্যক্তিবর্গসহ সকলের অবদান ও স্বকৃতজ্ঞ সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 Sadekpuruhsac.edu.bd
Desing & Developed BY Gausul Azam IT